বাশবাড়িয়া সমুদ্র সৈকত |
বাশবাড়িয়া সমুদ্র
সৈকত বাংলাদেশের সমুদ্র সৈকত গুলোর মধ্যে ভিন্ন একটি সৌন্দর্য্য বয়ে বেড়াচ্ছে। ভ্রমণ
পিপাসু যে কেউ খুব সহজে এখানে ঘুরে আসতে পারেনবাশবাড়িয়া সমুদ্র সৈকত। বাশবাড়িয়ার সবচেয়ে আকর্ষনীয় মুহূর্ত হলো সূর্যাস্ত অবলোকন করা। তাই
সেখানে বিকাল বেলা গেলে বেশি উপভোগ করতে পারবেন। অপূর্ব সেই বিকাল আপনাকে বার বার সেখানে যেতে উৎসাহিত করবে। দিন যতই যাচ্ছে
বাশবাড়িয়া সমুদ্র সৈকত ততই পর্যটকদের কাছে আকর্ষনীয় ও দর্শনীয় স্থান হিসেবে পরিচিতি
পাচ্ছে। সেখানে আকর্ষনীয় একটি স্টীলের ব্রীজ আছে যা দিয়ে আপনি সমুদ্রের বুকে হেটে বেশ
কিছু দূর যেতে পারবেন। আর হেটে যাওয়ার সময় সমুদ্রের জলে আপনি আপনার পা ভিজিয়ে মন ভরিয়ে
তুলতে পারবেন। সেই সাথে ঝাউ গাছের সারি, খোলামেলা প্রকৃতি, পিকনিক স্পট, সবুজ ঘাসের
ছোয়া আপনার মনকে আনন্দে ভরিয়ে তুলবে।
সীতাকুন্ডের চন্দ্রনাথ পাহাড় |
যেহেতু বাশবাড়িয়া
সমুদ্র সৈকত বিকালের সৌন্দর্য্য ফুটে উঠে তাই সকাল বেলা আপনি সীতাকুন্ডের ঝর্ণা, ইকো
পার্ক এবং সৌন্দর্য্যের লীলাভূমি চন্দ্রনাথ পাহাড় দেখে আসতে পারেন। তবে চন্দ্রনাথ পাহাড়ের
উঠার সময় অবশ্যই সঙ্গে পানি ও শুকনা খাবার রাখার চেষ্টা করবেন।
সীতাকুন্ডের চন্দ্রনাথ পাহাড় |
যেভাবে
আসবেনঃ
ঢাকার সায়দাবাদ থেকে সীতাকুন্ডে
আসে এমন অনেক বাস পাবেন। অর্থাৎ চট্টগ্রামগামী যে সকল বাস আসে সে বাসে করেই আপনি বাশবাড়িয়া
আসতে পারবেন। যেখান থেকেই আসুন আপনাকে সীতাকুন্ডের বাশবাড়িয়া বাজারে নামতে হবে। ঢাকা
থেকে বাস এর মানভেদে ভাড়া নিবে ৩০০-১০০০ টাকা। আর যারা চট্টগ্রাম থেকে আসবেন অলংকার
মোড় থেকে বাস, ম্যাক্সি বা সিএনজি আসতে পারবেন। বাস ভাড়া ৪০-৫০ টাকা নিবে। বাজারে নামার
পরে ২.৫ কিলোমিটার পথ অটোতে করে যেতে পারবেন। ভাড়া জন প্রতি ২০ টাকা নিবে। সিএনজি বা
অটো নেওয়ার সময় চালকদের সাথে ভালো ভাবে দরদাম করে নিয়ে যাওয়াই ভালো।
বাশবাড়িয়া সমুদ্র সৈকত |
থাকা
খাওয়াঃ
সীতাকুন্ডে থাকার জন্য বেশ
কয়েকটি হোটেল রয়েছে। এদের মধ্যে হোটেল সায়মন অন্যতম। ভাড়া পড়বে ৩০০-৭০০ টাকা। এছাড়া
সেখানে বেশ কয়েকটি রেস্ট হাউস আছে আপনারা সেখানেও যোগাযোগ করে থাকতে পারবেন। এখানে
বেশ কয়েকটি মোটামুটি ভালো মানের রেস্তোরা আছে সেখানে আপনি খাবার খেতে পারবেন। আল আমিন রেস্তোরা এর অন্যতম।
আল আমিন রেস্তোরা |
ভ্রমণের
আগে যা করণীয়ঃ
ভ্রমণ মানেই আনন্দ এটা আমরা
সবাই জানি। ভ্রমণের আনন্দ তখনই পরিপূর্ণ ও আনন্দের হয় যখন ভ্রমণ থেকে সুস্থভাবে ফিরে আসতে
পারি। তাই ভ্রমণের আগেই খেয়াল রাখতে হবে আপনি সুস্থ আছেন কিনা। কারণ সীতাকুন্ডের পাহাড়,
ঝর্ণা, বন দেখতে অনেকটা পথ আপনাকে পায়ে হেটেও যেটে হবে। তাই দেহে শক্তি সঞ্চয়ের জন্য
সাথে শুকনো খাবার ও প্রচুর পরিমানে পানি নিবেন।
বাশবাড়িয়া সমুদ্র সৈকত |
আপনার ভ্রমণ আনন্দের হোক।
বাশবাড়িয়া সমুদ্র সৈকত |
সীতাকুন্ড ঝর্ণা |
2 Post a Comment:
আপনার লেখা বরাবরই ভালো লাগে। আসলেই খুব সুন্দরএকটি সমুদ্র সৈকত বাঁশবাড়িয়া।
Thanks for your nice comments.....
Post a Comment