বছরের জুন থেকে সেপ্টেম্বর মাস পর্যন্ত বাংলাদেশে বিভিন্ন এলাকায় বসে বিভিন্ন রকমের ফলের বাজার। মধুপুর বিখ্যাত আনারস এর জন্য, রাজশাহী আমের জন্য, তেমনি বরিশাল বিখ্যাত পেয়ারা বাজার এর জন্য। ধারণা করা হয় বরিশাল, পিরোজপুর ও ঝালকাঠি এই তিন জেলায় এশিয়ার বৃহত্তম পেয়ারার চাষ হয়। মনোমুগ্ধকর বিস্তীর্ন এই পেয়ারার বাগান দেখতে যে কেউ আসতে পারেন বরিশালে।
ছুটি মানেই আনন্দ ছুটি মানেই খুশির জোয়ার। আর এই আনন্দ এবং খুশির মাতোয়ারা তখনই পরিপূর্ণটা লাভ করবে যখন পরিবার-পরিজন, বন্ধু-বান্ধব নিয়ে দূরে কোথাও গিয়ে ঘুরে আসতে পারবেন।
প্রাকৃতিক নৈসর্গিক সৌন্দর্য, শিল্প, সাহিত্য, সংস্কৃতি, জ্ঞান-বিজ্ঞান, ব্যবসা বানিজ্য সব কিছুর জন্যই সমৃদ্ধ বিশ্বের বৃহত্তম দেশ রাশিয়ায়। দিগন্তের এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে ঘুরে বেড়ালেও দেখে শেষ করা যাবেনা রূপের আধার রাশিয়ার লীলাভূমি
রূপকথার গল্পের কোন এক রাজকুমারী বিচরণ করছে, এদিক সেদিক ঘুরে বেড়াচ্ছে, তার সৌন্দর্য দিয়ে আগত সকলকে মোহবিষ্ট করছে। সেই রাজকুমারীর হলো নাম জাফলং। তার মোহে আবিষ্ট হয়ে প্রতিদিন দেশ বিদেশ থেকে শত শত পর্যটক উপস্থিত হচ্ছে জৈন্তা পাহাড়েরর পাদদেশে অবস্থিত জাফলং এ
সবুজ
পাহাড় আর ঝর্ণার স্বচ্ছ জলে কিছুক্ষণ গা ভিজিয়ে মন প্রাণকে শীতল করে আনন্দে ভরিয়ে তোলতে
ঘুরে আসতে পারেন ঝর্ণার রানী নামে খ্যাত মিরসরাইয়ের খৈয়াছরা ঝর্ণা। শিল্পীর নান্দনিক
তুলিতে আঁকা যেন এই ঝর্ণাটি। তার সৌন্দর্যে মুগ্ধ হয়ে প্রতিদিন অনেক ভ্রমণ পিপাসু মানুষ
তার কাছে ছুটে আসে। দেশের অনেক গুলো বৃহত্তম ঝর্ণার মধ্যে এটি একটি। খৈয়াছড়া এলাকার
পাহাড়ে অবস্থান হওয়ার কারণে এর নামকরণ করা হয়েছে খৈয়াছরা ঝর্ণা। এর গঠনশৈলি অন্যান্য
ঝর্ণা গুলো থেকে একটু আলাদা। এর মোট ০৯ টি ধাপ আছে যা বাংলাদেশের আর কোন ঝর্ণাতে তা
দেখা যায়নি। এছাড়া খৈয়াছরা পাহাড়ে প্রতিনিয়ত জ্বলে এমন একটি জায়গা আছে যা সেখানকার
একটি মূল আকর্ষণের একটি। স্থানীয় অধিবাসীদের ভাষ্যমতে বৃষ্টিতেও নাকি এই আগুন নিভে
না। তাই প্রতি বছর অনেক ভ্রমণ পিপাসু এই খৈয়াছরায় ভ্রমণ করতে আসে। অনেকের ধারণা যাতায়াত
উন্নত ও অন্যান্য অবকাঠামো উন্নয়ন হলে এখানে আরও অনেক মানুষ আসবে।
অবস্থানঃ
মিরসরাই
উপজেলার খৈয়াছরা ইউনিয়নের বড়তাকিয়া বাজারের উত্তর পাশে ঢাকা চট্টগ্রাম মহাসড়কের ৪.২
কিলোমিটার পূর্বে এর অবস্থান। এক কিলোমিটার পথ গাড়িতে যাওয়ার পর বাকি পথ যেতে পায়ে
হেঁটে যেতে হবে। বাঁশের সাকো, জমির আইল, আঁকাবাকা পাহাড়ী পথ, ছোট ছোট কয়েকটি ছরা, অন্তত
৪টি পাহাড় পেরিয়ে যখন সেখানে পৌছে ঝর্ণার জলে গা ভিজিয়ে নিবে তখন প্রাণটা জুড়িয়ে যাবে
যে কোন পর্যটকের। ছুটির দিনে প্রকৃতির অপরূপ সৌন্দর্য এবং সবুজে সমারোহ পাহাড় ও ঝর্ণার
সেতুবন্ধন দেখতে অনেক শিক্ষার্থী ও পর্যটক খৈয়াছরায় ছুটে আসেন। বর্তমানে খৈয়াছড়রা ঝর্ণা
জাতীয় উদ্যানের আওতাভুক্ত একটি দর্শনীয় স্থান। পর্যটকদের সুবিধার কথা চিন্তা করে অবাধ
যাতায়াত ও নিরাপত্তার জন্য স্থানীয় প্রশাসন কাজ করছে।
কিভাবে
যাবেনঃ
ঢাকার ফকিরাপুল, সায়দাবাদ বাস টার্মিনাল
থেকে যাতায়াতের জন্য চট্টগ্রামগামী হানিফ, শ্যামলী, এনা, ইউনিক, সৌদিয়া, এস আলম গ্রীন
লাইন সহ আরও অনেক বাস সার্ভিস আছে। ভাড়া নিবে এসি ১০০০- ১২০০ টাকা আর নন এসি ৪৮০ টাকা।
কেউ ট্রেনে আসতে চাইলে কমলাপুর থেকে উঠে ফেনীতে এসে নেমে যেতে হবে। তারপর সেখান থেকে
ভেঙ্গে ভেঙ্গে বাস ও সিএনজি করে মিরসরাই আসতে হবে। তবে বাসে আসাটায় সব থেকে ভালো হয়।
বাসে আসলে আপনাকে মিরসরাই পার হয়ে বড়তাকিয়া বাজারের আগে খৈয়াছরা আডিয়াল স্কুলের সামনে
নামতে হবে। তারপর সেখানে নেমে স্থানীয়দের জিজ্ঞেস করলে কিভাবে সেখানে যেতে হবে তারা
দেখিয়ে দিবে। সেখান থেকে ঝিরি পর্যন্ত আপনি সিএনজি নিতে পারেন। ভাড়া দরদাম করলে ৭০-১০০
টাকা নিবে। খৈয়াছরা ঝর্ণায় যাওয়ার পথ একটায়। তাই আসা যাওয়ার মাঝে অনেক ভ্রমণ পিপাসুর
দেখা পেয়ে যাবেন। আর আপনি চাইলে বাস থেকেই নেমেই গাইড নিয়ে নিতে পারেন।
করণীয়ঃ
পাহাড়ী উচু নিচু পথ দেড় ঘন্টার মতো হাঁটতে
হবে। তাই বাস থেকে নেমেই কিছু খেয়ে সেখান থেকে রওনা দিবেন। সাথে পানি ও শুকনো খাবার
রাখবেন যেন পথে দূর্বল হয়ে না পড়েন। সাবধানে হাঁটবেন যেন কোন দূর্ঘটনা না ঘটে।
থাকা-
খাওয়াঃ
মিরসরাই ও সীতাকুন্ডে থাকা ও খাওয়ার জন্য
বেশ কিছু ভালো হোটেল ও রেস্তোরা আছে। আপনি সেখানে নাম মাত্র মূল্যে থাকা খাওয়ার ব্যবস্থা
করে নিতে পারবেন।
কোলাহল শহর জীবনের সীমাহীন ব্যস্ততা ছেড়ে কিছু সময় প্রকৃতির
সাথে সময় কাটাতে চাইলে সময় করে কক্সবাজারের মারমেইড বিচ রিসোর্টে ঘুরে আসতে পারেন।
যেখানে প্রকৃতির মাঝেও আপনি আধুনিকতার অপূর্ব সাদৃশ্য খুঁজে পাবেন। সেই সাদৃশ্য আপনার
মন ও প্রানকে করবে পুলকিত দিবে সজীবতা ও প্রানবন্ত মন।
কক্সবাজার বিমানবন্দর থেকে মাত্র
১৬ কিলোমিটার দূরে জেলেদের পেঁচার দ্বীপ নামে একটি গ্রাম। এই গ্রামের পাশ ঘেঁষে বয়ে
গেছে রেজু খাল। আর সেখানেই গড়ে উঠেছে নান্দনিক মারমেইড বিচ রিসোর্ট। হিমছড়ি ও ইনানী
বিচের মাঝামাঝি জায়গায় এর অবস্থান। হিমছড়ি থেকে ইনানী যাওয়ার পথে রাস্তার পশ্চিম পাশে
ছোট ছোট অনেক কুড়ে ঘর দেখা যায়। এক পাশে ঝাউবন সমৃদ্ধ সমুদ্র সৈকত অন্যপাশে আকাশছোঁয়া
অনেক গুলো পাহাড়। আর মধ্যভাগ দিয়ে চলে গেছে টেকনাফ পর্যন্তপ্রায় ৮৪ কিলোমিটার কক্সবাজার মেরিন ড্রাইভ সড়ক।
কোলাহল মুক্ত অবাক করার মতো সৌন্দর্য ফুটে উঠেছে এই রিসোর্টটিতে।
ব্যতিক্রমী এই রিসোর্টে যে একবার ঘুরে এসেছে তাকে সেখানে
বার বার টেনে নিয়ে যাবে।
বিয়ের পরেই আমাদের প্রায় সবারই ইচ্ছা থাকে হানিমুন (মধচন্দ্রিমা)
করতে যাওয়ার। দেশের ভিতরে হানিমুন করার জন্য অন্যতম শ্রেষ্ঠ জায়গা মনে হলো কক্সবাজারের
এই রিসোর্টটিকে । আমরা আগেই বুকিং দিয়ে গিয়েছিলাম।
তাই এয়ারপোর্ট থেকে তাদের একটি মাইক্রোবাস আমাদের নিতে এসেছিলো। মাইক্রো ভাড়া বাবদ ২০০০
টাকা দিতে হয়। আর সিএনজি বলে রাখলে ভাড়া নিবে ৪০০ টাকা।
সেখানে পৌঁছার পর তাদের নিজস্ব বাগানের ফুলের মালা পড়িয়ে
যখন বরণ করে নেওয়া হয় তখন এক অদ্ভূদ অনুভূতি চলে আসবে।
তারপর সদ্য গাছ থেকে তোলে আনা ডাবের জলে আপনার মনের ও প্রাণের তৃষ্ণা ভরিয়ে দিবে।
সেখানে বিভিন্ন দাম ও মানের ৩০ টার মতো কটেজ আছে। বাইরে
থেকে দেখলে মনে হবে কুড়ে ঘর ছনের ছাউনী। কিন্তু কুড়ের ঘরের ভিতরটা আধুনিকতার ভরপুর।
বিশেষ করে স্নানরুমে ঢুকলে মনটাই যেন ভরে যাবে। বাজারের শ্যাম্পুর বদলে নিজস্ব ভেষজ
শ্যাম্পু, সাবান ও অন্যান্য পরিবেশন করা থাকে।
সময় করে সুইমিং পুলে গিয়ে কিছুক্ষণ সাঁতার
কেটে সময় কাটাতে পারেন। তাছাড়া কায়কিং করতে পারেন সঙ্গীকে
সাথে নিয়ে। সাঁতার জানলেও লাইভ জ্যাকেট পড়ে নিতে ভুলবেন না। জীবনের জন্য সতর্ক থাকা
ভালো। সমুদ্র সৈকতে সাইকেলিং করা আর একটি অন্যরকম আনন্দ দিবে।
প্যাকেজে গেলে কখন কি খাবেন তা নিয়ে আপনাকে কোন চিন্তা
করতে হবেনা । তারাই সময় মতো কখন কি খাওয়ানো হবে জানিয়ে দিবে। খাবারের স্থান আপনার পছন্দ
মতো তারা সাজিয়ে দিবে। রাতে থাকবে ভেরি স্পেশিয়াল ক্যান্ডেল নাইট ডিনার। প্রাকৃতিক পরিবেশে খাবার পরিবেশন ও খাবারের মান
তৃপ্তি দিবে আপনাকে। বিভিন্ন রকমের সী ফুড ও স্বাদে ভরপুর থাকবে আপনার টেবিল। আর যারা
ওয়াকিং গেস্ট হিসেবে সেখানে যান মনে রাখা ভালো যে, সেখানে মানের কারণে খাবারের দামটা
একটু বেশি।
মারমেইডে প্রায় ৫০ আইটেমের বুফেট ব্রেকফাস্ট এর ব্যবস্থা
আছে। এটা সকল গেস্টের জন্য উন্মুক্ত থাকে। সকাল ৭ টাকা থেকে ১০ টা পর্যন্ত যতবার খুশি
খেতে পারবেন। কি নেই সেই ব্রেকফাস্টে? বিভিন্ন রকম ফ্রেশ জুস থেকে শুরু করে দেশি, বিদেশি
বিভিন্ন আইটেম পাবেন। মূলত অনেক বিদেশী এখানে অবস্থান করে তাই এই ব্যবস্থা করা।
বিকেল বেলা কোলাহল মুক্ত পরিবেশে বীচ ধরে হেঁটে বেড়াতে
চমৎকার লাগে। হাটতে হাটতে রেজু খালের পাড়ে চলে যাওয়া যায়। খালের বুক বেয়ে সাম্পান নৌকা
গুলো যাওয়া আসা করতে দেখা যাবে। একটু হেটে বেড়ানোর সময় খেয়াল করলে দেখা যাবে আপনার
উপস্থিতি টের পেয়ে ছোট ছোট লাল কাঁকড়া গুলো দৌড়ে পালাচ্ছে। অপূর্ব লাগবে সেই দৃশ্যগুলো।
রাত পর্যন্ত ঘুরে বেড়ালেও ভয়ের কিছু নেই। পুরো বীচ জুড়েই আছে তাদের নিরাপত্তা কর্মীরা।
আমি আমার অভিজ্ঞতায় বলতে চাই, নিরিবিলি সুন্দর প্রাকৃতিক
দৃশ্যের সাথে সমুদ্রকে আলিঙ্গন করলে চাইলেআপনিও আসতে পারেন মারমেইড বিচ রিসোর্টে। আমার বিশ্বাস আপনার ছুটি ভালো কাটবে।
বিমান, বাস, ট্রেন এই তিন পথেই সেখানে যেতে পারবেন। তবে
ট্রেনে গেলে চট্টগ্রামে নামতে হবে। সেখান থেকে আবার বাসে করে কক্সবাজার আসতে হবে। কক্সবাজার
কলাতলী থেকে মারমেইড পর্যন্ত সিএনজি ভাড়া নিবে ১৫০- ২০০ টাকা। সময় লাগবে ২০-২৫ মিনিট।
যারা প্রকৃতি
ঘেরা পাহাড়, নদী, বন, ঝর্ণা, সমুদ্র একই জায়গায় দেখতে চান তারা চট্টগ্রাম জেলার সীতাকুন্ড
ঘুরে আসতে পারেন। এক সাথে প্রকৃতির এমন সৌন্দর্য দেখার
সুযোগ খুব কম জায়গায় পাওয়া যাবে। যেখানে আকাশ, পাহাড় ও ঝর্ণা মিলে মিশে এক সেতু বন্ধনে
আবদ্ধ অন্যদিকে সমুদ্রের গর্জন আপনাকে হাতছানি দিয়ে ডাকবে
কাছে যাওয়ার। উপরে পাহাড়ের উদারতা আর নিচে পাহাড়ের পাদদেশের ঝর্ণা, বন ও বনানীর মুগ্ধতায়
পরিপূর্ণ করবে আপনার দেখার অনুভূতি গুলোকে। অর্থাৎ বলা
যায় ভ্রমণের আনন্দকে পরিপূর্নতায় নিয়ে আসবে সীতাকুন্ড
ভ্রমণ।
সীতাকুন্ড ভ্রমণে যে কয়েকটি দর্শনীয় স্থান আপনাকে
মুগ্ধ করবে সেগুলো হলো-
খৈয়াছড়া ঝর্ণা, চন্দ্রনাথ
পাহাড় ও মন্দির, সীতাকুন্ড ইকো পার্ক, কমলদহ ঝর্ণা,
ঝরঝরি ঝর্ণা, গুলিয়াখালী সমুদ্র সৈকত, বাশবাড়িয়া সমুদ্র সৈকত, কুমিরা ঘাট অন্যতম।
এছাড়া জাহার ভাঙ্গার কারখানা ঘুরে দেখে যেতে পারেন। তবে এতো গুলি দর্শনীয় স্থান একদিনে দেখে শেষ করা যাবেনা। তাই সীতাকুন্ডের
সব গুলো জায়গা ঘরে দেখতে চাইলে তিন দিন হাতে নিয়ে আসলে ভালো হয়।
ঢাকার সায়দাবাদ
থেকে সীতাকুন্ডে আসে এমন অনেক বাস পাবেন। অর্থাৎ চট্টগ্রামগামী যে সকল বাস আসে সে বাসে
করেই আপনাকে সীতাকুন্ডে আসতে হবে। যেখান থেকেই আসুন আপনাকে সীতাকুন্ড উপজেলার বড় দারোগারহাট
বাজারে নামতে হবে। ঢাকা থেকে বাস এর মানভেদে ভাড়া ৩০০-১০০০ টাকা। সীতাকুন্ডে আসা যায়।
আর যার চট্টগ্রাম থেকে আসবেন অলংকার মোড় থেকে বাস, ম্যাক্সি বা সিএনজি আসতে পারবেন।
বাস ভাড়া ৭০-৮০ টাকা নিবে। স্টেশনে নেমে সিএনজি বা মাইক্রোবাস ভাড়া করতে পারেন। একেক
জায়গার জন্য একেক রকম ভাড়া নিবে। তাই তাদের সাথে ভালো ভাবে দরদাম করে নিয়ে যাওয়াই ভালো।
চন্দ্রনাথ পাহাড়ে পায়ে হেটে যাওয়ার মজাই আলাদা।
সীতাকুন্ডে
থাকার জন্য বেশ কয়েকটি হোটেল রয়েছে। যোগাযোগ করে বুকিং করতে
পারেন। ফোন-০১৮২৭৩৩৪০৮২; ০১৮২৫১২৮৭৬৭। ভাড়া পড়বে ৩০০-৬০০ টাকা। এছাড়া সেখানে বেশ কয়েকটি
রেস্ট হাউস আছে আপনারা সেখানেও যোগাযোগ করে থাকতে পারবেন। এখানে বেশ কয়েকটি মোটামুটি
ভালো মানের রেস্তোরা আছে সেখানে আপনি খাবার খেতে পারবেন। সীতাকুুন্ডে আল আমিন (ফোন: 01711270293/01818698200) রেস্তোরায় দুপুরের খাবার খেয়ে নিতে পারবেন। খাবার ১৫০-২০০ টাকার মধ্যে মোটামুটি ভালো মানের খাবার পাবেন।
ভ্রমণ মানেই
আনন্দ এটা আমরা সবাই জানি। ভ্রমণের আনন্দ তখনই পরিপূর্ণ আনন্দের হয় যখন ভ্রমণ থেকে সুস্থভাবে ফিরে আসতে পারি।
তাই ভ্রমণের আগেই খেয়াল রাখতে হবে আপনি সুস্থ আছেন কিনা। কারণ সীতাকুন্ডের পাহাড়, ঝর্ণা,
বন দেখতে অনেকটা পথ আপনাকে পায়ে হেটেও যেটে হবে। তাই দেহে শক্তি সঞ্চয়ের জন্য সাথে
শুকনো খাবার ও প্রচুর পরিমানে পানি নিবেন। বাঁশবাড়িয়া ও গুলিয়াখালী সমুদ্রসৈকতঃ সীতাকুন্ডের পাহাড় ঝর্ণা ঘুরাঘুরি শেষ করে খুব সহজেই আপনি বাঁশবাড়িয়া সমুদ্রসৈকত ও গুলিয়াখালী সমুদ্র সৈকত ঘুরে আসতে পারেন। সিএনজি চালিত অটোরিক্সা করে আপনি সেখানে যেতে পারবেন। আর যদি নিজে গাড়ি নিয়ে যান তাহলে তো খুব সহজেই দুটি সমুদ্রসৈকত ঘুরে আসতে পারবেন। আপনার ভ্রমণ আনন্দের হোক।