Biloy Mrong

Biloy Mrong

ভাসমান পেয়ারা বাজার, ঝালকাঠি, বরিশাল

বছরের জুন থেকে সেপ্টেম্বর মাস পর্যন্ত বাংলাদেশে বিভিন্ন এলাকায় বসে বিভিন্ন রকমের ফলের বাজার। মধুপুর বিখ্যাত আনারস এর জন্য, রাজশাহী আমের জন্য, তেমনি বরিশাল বিখ্যাত পেয়ারা বাজার এর জন্য। ধারণা করা হয় বরিশাল, পিরোজপুর ও ঝালকাঠি এই তিন জেলায় এশিয়ার ‍বৃহত্তম পেয়ারার চাষ হয়। মনোমুগ্ধকর বিস্তীর্ন এই পেয়ারার বাগান দেখতে যে কেউ আসতে পারেন বরিশালে।

হাম হাম জলপ্রপাত

হাম হাম জলপ্রপাত’’ ‘‘হামহাম জলপ্রপাত’’ বাংলাদেশের, মৌলভীবাজার জেলার কমলগঞ্জ উপজেলার, জারকান্দির সংরক্ষিত বনাঞ্চলের গভীরে কুরমা বন বিট এলাকায় অবস্থিত

ছুটি মানেই আনন্দ ছুটি মানেই খুশির জোয়ার

ছুটি মানেই আনন্দ ছুটি মানেই খুশির জোয়ার। আর এই আনন্দ এবং খুশির মাতোয়ারা তখনই পরিপূর্ণটা লাভ করবে যখন পরিবার-পরিজন, বন্ধু-বান্ধব নিয়ে দূরে কোথাও গিয়ে ঘুরে আসতে পারবেন।

রাশিয়ার দর্শণীয় স্থান সমূহ

প্রাকৃতিক নৈসর্গিক সৌন্দর্য, শিল্প, সাহিত্য, সংস্কৃতি, জ্ঞান-বিজ্ঞান, ব্যবসা বানিজ্য সব কিছুর জন্যই সমৃদ্ধ বিশ্বের বৃহত্তম দেশ রাশিয়ায়। ‍দিগন্তের এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে ঘুরে বেড়ালেও দেখে শেষ করা যাবেনা রূপের আধার রাশিয়ার লীলাভূমি

প্রকৃতির কন্যা জাফলং

রূপকথার গল্পের কোন এক রাজকুমারী বিচরণ করছে, এদিক সেদিক ঘুরে বেড়াচ্ছে, তার সৌন্দর্য দিয়ে আগত সকলকে মোহবিষ্ট করছে। সেই রাজকুমারীর হলো নাম জাফলং। তার মোহে আবিষ্ট হয়ে প্রতিদিন দেশ বিদেশ থেকে শত শত পর্যটক উপস্থিত হচ্ছে জৈন্তা পাহাড়েরর পাদদেশে অবস্থিত জাফলং এ

Saturday, June 30, 2018

রাশিয়ার দর্শণীয় স্থান সমূহ


রাশিয়ার দর্শণীয় স্থান সমূহ
 প্রাকৃতিক নৈসর্গিক সৌন্দর্য, শিল্প, সাহিত্য, সংস্কৃতি, জ্ঞান-বিজ্ঞান, ব্যবসা বানিজ্য সব কিছুর জন্যই সমৃদ্ধ বিশ্বের বৃহত্তম দেশ রাশিয়ায়। ‍দিগন্তের এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে ঘুরে বেড়ালেও দেখে শেষ করা যাবেনা রূপের আধার রাশিয়ার লীলাভূমি। রুশ সংস্কৃতি ও তাদের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য এবং তাদের আতিথেয়তা আপনার হৃদয় মনকে মুগ্ধ করবে। সেই সাথে পরিচিত হয়ে আসতে পারেন তাদের অসংখ্য বিস্ময়ের স্থান গুলোর সাথে। যেগুলো আপনাকে সেখানে আবার ঘরতে যাওয়ার অনুপ্রেরণা দিবে। ভ্রমণ পিপাসু যে কেউ খুব সহজে ঘুরে আসতে পারেন এশিয়া ইউরোপ মিশ্রিত বিশাল এই দেশে। সেখানকার আকর্ষনীয় স্থানগুলোর মধ্যে আপনি দেখে আসতে পারেন রাজধানী মস্কো, সেন্ট পিটার্সবার্গ, বইকাল লেক, মাউন্ট এলব্রাস সহ আরও অনেক অসাধারণ নিদর্শণ।

The Moscow 

মস্কোঃ

মস্কো ইউরোপীয়দের জন্য অন্যতম জনপ্রিয় শহর। এটি বিশ্বের বৃহত্তম দেশ রাশিয়ার রাজধানী এবং ইউরোপ ও এশিয়া মহাদেশের একটি ঐতিহাসিক শহর। মস্কো নদীর তীরে এর অবস্থান। ক্রেমলিন এবং রেড স্কোয়ার এর জন্য বিখ্যাত এই শহর। এটি লেনিনের সমাধিসৌধ বাড়ি, ঐতিহাসিক জাদুঘর, সেন্ট বেসিলের ক্যাথিড্রাল, পেঁয়াজ আকৃতিরর গম্বুজগুলির জন্য খুব পরিচিত। অনেক ভোজন বিলাস মানুষ রুশ ঐতিহ্যগত খাবার খেতে এখানে ঘুরতে আসেন। ১৯৮০ সালে এখানে গ্রীষ্মকালীন অলিম্পিক গেমস অনুষ্ঠিত হয়েছিলো।

Saint Petersburg  


সেন্ট পিটার্সবার্গ :

এটি সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের জন্য বিখ্যাত।  কয়েকবার নাম পরিবতনের পর ১৯৯১ সালে সেন্ট পিটার্সবার্গ নামে চূড়ান্ত করা হয় এর নাম।  এটি রাশিয়ার ২য় বৃহত্তম শহর। পৃথিবীর সবচেয়ে উত্তর প্রান্তে এর অবস্থান। দশ লক্ষের বেশি জনসংখ্যার শহর এটি। এখানকার ঐতিহাসিক কেন্দ্র ও স্মৃতিসৌধগুলো ইউনেস্কোর বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থানগুলোর একটি। সেন্ট পিটার্সবার্গে অবস্থিত হারমিটেজ জাদুঘর বিশ্বের বৃহত্তম জাদুঘর গুলো মধ্যে অন্যতম। এটি ইউরোপের একটি প্রধান সাংস্কৃতিক কেন্দ্র এবং বাল্টিক সাগর তীর হওয়ায় এটি রাশিয়ার একটি গুরুত্বপূর্ণ  সমুদ্র বন্দর।

Lake Baikal


বৈকাল হ্রদ বা লেকঃ

বাংলাদেশে ছোট বড় বেশ কয়েকটি সুন্দর হ্রদ বা লেক রয়েছে। লেকগুলোর মধ্যে বগা  লেক, চট্টগ্রামের ফয়ের লেক, কাপ্তাই লেক, মাধবপুর লেক নেত্রকোনার চুনাপাথর লেক। এর সব গুলোই প্রায় মানুষের হাতের তৈরী। কিন্তু রাশিয়ার সাইবেরিয়া শহরে অবস্থিত লেকটি সম্পূর্ণ ভিন্ন একটি লেক। যেটি প্রাকৃতিক ভাবে সৃষ্টি হয়েছে এবং এটি পৃথিবীর সর্ববৃহৎ ও প্রাচীন হ্রদ বা  বিশ্বের সবচেয়ে গভীরতম হ্রদ যার গভীরতা পাঁচ হাজার ফুট। চারিদিকে পাহাড়ে ঘেরা এই হ্রদের আশেপাশে অসংখ্য গাছপালা ও জীতজন্তু রয়েছে যারা হ্রদের জল খেয়ে বেচে আছে। বিস্তির্ণ এই হ্রদের জল স্বচ্ছ এবং বিশুদ্ধ। অপরূপ সৌন্দর্যের তাজা পরিবেশে মুগ্ধ হয়ে অনেক পর্যটক এখানে ঘুরতে আসেন।

Mount Elbrus

 মাউন্ট এলব্রাসঃ

মাউন্ট এলব্রাস লক্ষ লক্ষ বছর আগে গঠিত হয়েছিলো। এটি ইউরোপের সবচেয়ে উচু পাহাড় এবং সেভেন সামিট গুলির মধ্যে একটি। এছাড়াও এটা বিশ্বের সর্ববৃহৎ ও সর্বোচ্চ পর্বতশৃঙ্গগুলোর মধ্যে অন্যতম । এর উচ্চতা ১৮,৫১০ ফুট (৫,৬৪২ মিটার)। এটাকে এখন একটি বিলুপ্ত আগ্নেয়গিরি বলা হয়ে থাকে।

সাজদালঃ
রাশিয়ার উত্তরপূর্বে অবস্থিত মস্কো শহরের একটি প্রাচীন শহর সাজদাল। যারা রাশিয়ার ঐতিহাসিক স্থাপত্য এর অভিজ্ঞতা নিতে চাই ও এর সৌন্দর্য দেখতে চান তারা এখানে আসতে পারেন। এখানকার কিছু স্মারক ইউনেস্কো ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইট এর তালিকা ভুক্ত করা হয়।  এখানে দেখতে পাবেন কিছু স্মৃতিসৌধ, সেন্ট নিকোলাসের কাঠের চার্চ, ইথিউইসের মঠ, মধ্যযুগীয় কনভেন্ট ইত্যাদি দেখতে পাবেন। যেগুলো আপনার দেখার তৃষ্ণাকে তৃপ্তি ‍দিবে।

পৃথিবীর দীর্ঘতম রেলপথঃ
১৮৯১ থেকে ১৯১৬ সালের সময়ে নির্মিত রাশিয়ার মস্কো থেকে ভূদিভোসটক পর্যন্ত রেলপথই বর্তমান বিশ্বের সবচেয়ে দীর্ঘ রেলপথ। এটা ট্রান্স সাইবেরিয়ান রেল পথ নামে পরিচিত। এটি ৫ হাজার ৭৭৬ মাইল পথ অতিক্রম করেছে। আর এ বিখ্যাত রেলপথ  তৈরী করতে সময় লেগেছে প্রায় ২৫ বছর। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়ে এ রেলপথ এশিয়ার ও ইউরোপের মধ্যে যোগাযোগ এর জন্য অন্যতম মাধ্যম ছিলো। এছাড়া রাশিয়ার মোট রপ্তানীর ৩০ ভাগ সম্পন্ন হয় এই রেলপথ দিয়েই। এখন এই রেলপথের আরও পরিবর্তনের জন্য কাজ করছে বর্তমান কর্তৃপক্ষ।
রাশিয়ার  পাতাল রেলপথ সেখানকার দর্শণীয় স্থানগুলোর মধ্যে অন্যতম। পাতাল রেলপথের স্থাপত্য নিদর্শন গুলো মুগ্ধতায় ভরিয়ে তোলবে যেকোন পর্যটককে। রাশিয়ায় গেলে এই পাতাল রেল পরিদর্শন না করলে অপূর্ণ থেকে যাবে আপনার ভ্রমণ।


রাশিয়া ২০১৮ সালে ফুটবল বিশ্বকাপ সফল ভাবে আয়োজন করে নিজেদেরকে এক অনন্য উচ্চতায় নিয়ে গেছে। নিজের দেশকে তারা পর্যটকদের জন্য আকর্ষণীয় করে তোলেছে। যারা একবার রাশিয়া ভ্রমণ করবে তারা রাশিয়ার ঐতিহ্য, সংস্কৃতি ও তাদের আতিথেয়তায় মুগ্ধ হয়ে বার বার সেখানে ফিরে যেতে চাইবে।

Wednesday, June 27, 2018

রাতারগুল ভ্রমণ / কিভাবে যাবেন


Ratargul

বাংলাদেশের একমাত্র জলাবন (সোয়াম্প ফরেষ্ট) রাতারগুল। সিলেট জেলা সদর থেকে মাত্র ২৬ কিলোমিটার দূরত্বে এর অবস্থান। সিলেট জেলার গোয়াইনঘাটের ফতেহপুর ইউনিয়নে সবুজে অরণ্য রাতাগুলের অবস্থান। উইকিপিডিয়ার সূত্রমতে, পৃথিবীতে স্বাদুপানির জলাবন আছে মাত্র ২২টি। এর মধ্যে ভারতীয় উপমহাদেশে আছে মাত্র দুটি। রাতারগুল তার মধ্যে একটি আর অপরটি শ্রীলংকায় অবস্থিত। অনেকে রাতারগুলকে বিশ্ববিখ্যাত আমাজনের সাথে তুলনা করে। আবার অনেকে সুন্দরবনের সাথেও তুলনা করে থাকে। আমাজনের মতো বছরের বেশির ভাগ সময় জলমগ্ন থাকে এই রাতারগুল। তবে মে থেকে সেপ্টেম্বর মাসে বেশি পানি থাকে এই এলাকায়। বর্ষায় অথই জলে ভরে যায় পুরো বন। আর তখনই পর্যটকেরা রাতারগুল ভ্রমণে আসতে থাকে। ছোট ছোট নৌকা নিয়ে ৫-৬ জনের দল নিয়ে ঘুরে বেড়ানোর মজাই যেন আলাদা। তবে খুব সাবধান থাকতে হবে। বিষাক্ত সাপ আর অন্যান্য সরীসৃপ প্রানীরা তখন সব গাছের উপরে আশ্রয় নেয়।  বন বিভাগের তথ্যমতে, রাতারগুল বনটি ৩০,৩২৫ একর জায়গা জুড়ে  এর অবস্থান। এর মধ্যে ৫০৪ একর জায়গা জুড়ে আছে বন আর বাকী পুরো এলাকা ছোট বড় অনেক জলাশয়ে পূর্ণ। ১৯৭৩ সালে সরকার রাতারগুলকে বন্য প্রাণীর অভয়ারণ্য হিসেবে ঘোষণা করেছে। শীতকালে অতিথির পাখির বিচরণে মুখরিত থাকে পুরো রাতারগুল বন।
রাতারগুল একটি প্রাকৃতিক বন। এখানে কদম, জালিবেত ও অর্জুন সহ প্রায় ২৫ প্রজাতির গাছ চোখে পড়বে। এছাড়াও বন বিভাগ বেত, কদম, হিজল সহ বিভিন্ন প্রজাতির গাছ রোপন করে বনকে আরও সমৃদ্ধ করেছে।
রাতের বেলা রাতারগুলো দৃশ্য অন্যরকম থাকে। ছোট ছোট নৌকা করে কুপি বাতি জ্বালিয়ে জেলেদের মাছ শিকার করতে দেখা যায়। তখন অন্যরকম একটি দৃশ্য ধারণ করে রাতাগুল বন। টেংরা, পাবদা, খলিশা, মায়া,কালবাউস, রুই, মাগুর ও সিং সহ বিভিন্ন জাতের মাছ পাওয়া যায় এই বনে।

রাতারগুলে ছোট ডিঙি নৌকা নিয়ে ভিতরে ঢোকার সাথে সাথে মুগ্ধতায় ভরে যাবে আপনার মন। গোয়াইন নদীর বয়ে যাওয়া পানির শব্দ, পাখিদের কলতান, সেই সাথে ভারতের মিজোরামের উচু সবুজ পাহাড়ের দৃশ্য গুলো আপনার রাতারগুল ঘুরতে যাওয়ার মিশনটাকে পূর্ণতায় ভরিয়ে তুলবে।

ভ্রমন প্রস্তুতি ও সতর্কতাঃ

যেহেতু মে থেকে সেপ্টেম্বর মাসে প্রচুর পরিমাণে বৃষ্টি হয় তাই ভ্রমণের সঙ্গী হিসেবে ছাতা, রেইনকোট নিতে ভুলবেন না। যারা রোদ টুপি পড়ে অভ্যস্ত তারা সঙ্গে করে রোদ টুপি নিতে পারেন। সাঁতার না জানলে নৌকায় উঠার আগেই লাইফ জ্যাকেট পড়ে নিবেন। সঙ্গে খাবার পানি এবং শুকনো খাবার নিলে ভালো। কারণ রাতারগুলের আশে পাশে খাবার হোটেল বা থাকার ব্যবস্থা  নেই। পরিবেশের কথা মাথায় রেখে কোন ধরণের পানির বোতল বা প্লাস্টিক জাতীয় কোন কিছু পানিতে না ফেলায় ভালো। নিরাপদ ও শুভ যাত্রা কামনা সবার জন্য। 

কি ভাবে যাবেন রাতারগুল

ঢাকা➩ সিলেট 
ঢাকা থেকে সিলেট বাস/ট্রেন/বিমান তিন পথেই আসা যায়। ঢাকা থেকে সিলেট বিভিন্ন ধরনের বাস পাবেন এসি/ননএসি  শ্যমলি, হানিফ, গ্রীন লাইন, এস আলম, এনা, ইউনিক ইত্যাদি।
ঢাকা থেকে সিলেট বাস ভাড়া ৪০০-৫০০ টাকা (নন এসি) ৮০০-১২০০ টাকা (এসি) । ট্রেন ভাড়া ২৮০ থেকে ১২০০ টাকা (শ্রেণি ভেদে) সময় লাগবে ৭-৮ ঘন্টা।

সিলেট ➩রাতারগুল
সিলেট থকে রাতারগুল সিলেটে-জাফলং রোড থেকে বাস বা ভাড়া গাড়িতে করে যাবেন সারিঘাট। সারি ঘাট থেকে টেম্পোতে করে গোয়াইনঘাট বাজার। এখান থেকে নদী পথে রাতারগুল, নৌকা রিজার্ভ করতে হবে। মনে রাখতে হবে বড় নৌকায় রাতারগুল পর্যন্ত যাওয়া যাবেনা। রাতারগুল বনে ঢুকতে হলে ডিঙি নৌকায় যেতে হবে। গোয়াইনবাজার যাওয়ার পর সমস্যা হবে না স্থানীয়  লোকেরাই বলে দিবে।

ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, যশোর, সিলেট বিমান ভাড়া

ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম            ৫৮০০৳
ঢাকা থেকে কক্সবাজার       ৬৬০০৳
ঢাকা থেকে যশোর              ৪০০০৳
ঢাকা থেকে সিলেট              ৪২০০৳


পূর্ব প্রস্তুতি, ভাল পরিকল্পনা থাকলে 
কম সময়ে কম খরচে আপনার ভ্রমণ হবে নিরাপদ এবং আনন্দের।

প্রকৃতির কন্যা জাফলং যাবেন কীভাবে/ Jaflong

সিলেট, জাফলং
জাফলং, সিলেট

রূপকথার গল্পের কোন এক রাজকুমারী বিচরণ করছে, এদিক সেদিক ঘুরে বেড়াচ্ছে, তার সৌন্দর্য দিয়ে আগত সকলকে মোহবিষ্ট করছে। সেই রাজকুমারীর হলো নাম জাফলং। তার মোহে আবিষ্ট হয়ে প্রতিদিন দেশ বিদেশ থেকে শত শত পর্যটক উপস্থিত হচ্ছে জৈন্তা পাহাড়েরর পাদদেশে অবস্থিত জাফলং এ। পাহাড়ের উদারতা দেখা যাবে এখানে আসলে। প্রকৃতির কন্যা তার ভালোবাসা দিয়ে ভরিয়ে দিবে আপনার হৃদয় ও মন। 
প্রকৃতি কন্যা জাফলং। চারদিকে সবুজ পাহাড়, স্বচ্ছ নদী, ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা অসংখ্য ছোট বড় পাথর ,পাহাড়ী ঝর্ণা, এসব আপনাকে মুগ্ধ করবে ।  প্রকৃতি যেন সব কিছু নিজের মনের মতো করে সাজিয়ে রেখেছে।  সিলেট জেলা শহর থেকে সড়ক পথে দূরত্ব মাত্র ৫৬ কি.মি.। বর্ষায় জাফলংয়ের রূপ যেন ভিন্ন মাত্রায় ফুটে উঠে। জিরো পয়েন্ট, পিয়ান নদীর উপর ঝুলন্ত ব্রীজ, ডাইকি নদীর স্বচ্ছ পানি জাফলংয়ের সৌন্দর্যকে বাড়িয়ে দেয় দ্বিগুণ। সিলেট আসলে ‍যদি জাফলং ঘুরতে না যান অপূর্ণ
 থেকে যাবে আপনার ভ্রমণ। 
কিভাবে যাবেন                        ঢাকা ➩সিলেট➩জাফলং
ঢাকা থেকে সিলেট বাস/ট্রেন/বিমান তিন পথেই  আসা যায়। ঢাকা থেকে সিলেট বিভিন্ন ধরনের বাস পাবেন এসি/ননএসি  শ্যামলি, হানিফ, গ্রীন লাইন, এনা, ইউনিক, সৌদিয়া ইত্যাদি। ঢাকা থেকে সিলেট বাস ভাড়া ৪০০-৫০০ টাকা (নন এসি) ৮০০-১২০০ টাকা (এসি) । ট্রেন ভাড়া ২৮০ থেকে ১২০০ টাকা (শ্রেণি ভেদে) সময় লাগবে ৭-৮ ঘন্টা। ঢাকা থেকে সিলেট বিমান ভাড়া ৪২০০-৬০০০ টাকা।

সিলেট থেকে জাফলং
বাস বা প্রাইভেট গাড়ি দু’ভাবে যেতে পারেন। বাস কদমতিলী বাস স্ট্যান্ড/শিশুপার্ক বাস স্ট্যান্ড থেকে পাবেন। ভাড়া ৬০-৮০ টাকা। মাইক্রোবাস/হাইস্ রিজার্ভ  নিতে পারবেন ভাড়া ৩,০০০-৫,০০০ টাকা সারাদিন।

কোথায় থাকবেন
সাধারণত জাফলং দেখতে আসা পর্যটকেরা সিলেট শহরেই থাকতে পছন্দ করেন।  সিলেটে আপনার পছন্দ অনুযায়ী ছোট বড় বিভিন্ন মানের হোটেল/মোটেল, রেষ্টহাউস পাবেন। দাম পরবে ৪০০-২৫০০টাকা(দিন)। জাফলংয়ে থাকার মতো ভালো হোটেল/মোটেল নেই বললেই চলে। একমাত্র জাফলংয়ের জেলা পরিষদের বাংলো রয়েছে। অনেক আগে থেকে বুকিং দিয়ে আসলে সেখানেও থাকতে পারবে।


ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, যশোর, সিলেট বিমান ভাড়া

ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম            ৫৮০০৳
ঢাকা থেকে কক্সবাজার       ৬৬০০৳
ঢাকা থেকে যশোর              ৪০০০৳
ঢাকা থেকে সিলেট              ৪২০০৳

তবে বিভিন্ন সময় টিকিট এর মূল্য উঠা নামা করতে।


পূর্ব প্রস্তুতি, ভাল পরিকল্পনা থাকলে 
কম সময়ে কম খরচে আপনার ভ্রমণ হবে নিরাপদ এবং আনন্দের।

‘‘হাম হাম জলপ্রপাত’’ কিভাবে যাবেন/ Hum Hum



হাম হাম জলপ্রপাত
‘‘হাম হাম জলপ্রপাত’’


‘‘হামহাম জলপ্রপাত’’ বাংলাদেশের, মৌলভীবাজার জেলার কমলগঞ্জ উপজেলার, জারকান্দির সংরক্ষিত বনাঞ্চলের গভীরে কুরমা বন বিট এলাকায় অবস্থিত।

এই জলপ্রপাতটি ২০১০ খ্রিস্টাব্দের শেষাংশে পর্যটন গাইড শ্যামল দেববর্মার সাথে একদল পর্যটক আবিস্কার করেন। পর্যটকদের ধারণা যে এই জলপ্রপাতটি উচ্চতায় ১৬০ ফুট উঁচু (কোন প্রতিষ্ঠিত/পরীক্ষিত মত নেই)। তবে গবেষকরা মত প্রকাশ করেন যে, এর ব্যাপ্তি মাধবকুন্ডের ব্যাপ্তির তিনগুণ বড়।

প্রজলপ্রপাতটির নামকরণ:
জলপ্রপাতটির নামকরণ সম্পর্কে পর্যটকদের নানা অভিমত রয়েছে। অনেককে মনে করেন যে, ঝর্ণার সাথে গোসলের সম্পর্ক করে ‘‘হাম্মাম’’ (গোসলখানা) শব্দটি থেকে ‘‘হাম হাম’’ হয়েছে। আবার অনেকে মনে করেন সিলেটি উপভাষায় ‘‘আ-ম আ-ম’’ বলে বোঝানো হয় পানির তীব্র শব্দকে। আর ঝর্ণা যেহেতু সে রকম শব্দ করে, তাই মনে করা হয় শহুরে পর্যটকদের ভাষান্তরে তা “হাম হাম’’ হিসেবে পরিচিতি লাভ করে।

কিভাবে যাবেন:
ঢাকা থেকে শ্রীমঙ্গল (বাস/ট্রেন)  দু’ভাবেই আপনি আসতে পারেন। ঢাকা থেকে অনেক ধরণের বাস পাবেন। তাদের মধ্যে  হানিফ, শ্যামলি, গ্রীন লাইন, ইউনিক ইত্যাদি। ভাড়া ৩৮০-৪২০ টাকা (নন এসি)। ট্রেনে ভাড়া শোভন চেয়ার ২২৫টাকা, শোভন ১৮৫ টাকা, এসি সিট ৫১২ টাকা (জয়ন্তিকা/পারাবত) এসি সিট কালীনে ৪২৬ টাকা, স্লিপিং বার্থ ৪৯৫ টাকা ( নন এসি) স্লিপিং বার্থ এসি ৮১৬ টাকা।
শ্রীমঙ্গল থেকে মাধবপুর বাস/সিএনজি/ পাবেন। তবে ভাড়া করা গাড়ি হলে ভালো হয়  এতে সময় কম লাগবে । এক ঘন্টার মতো সময় লাগবে (ভাড়া করা গাড়ি হলে কম হতে পারে) । হাম হাম গভীর অরণ্যে অবস্থিত তাই মাধবপুর থেকে গাইড নিয়ে যাওয়াই ভালো। পায়ে হেঁটে ‘‘হাম হাম’’ পৌচ্ছাতে সময় লাগবে প্রায় ৪ ঘন্টা।

বিশেষ প্রস্তুতি নিতে হবে:
‘‘হাম হাম’’ জলপ্রপাতটি সংরক্ষিত বনাঞ্চলের গভীর পাহাড়ে অবস্থিত। তাই যাওয়ার আগে অবশ্যই আপনাকে মানসিক ও শারীরিক দুই দিক থেকেই প্রস্তুতি নিয়ে যেতে হবে। যারা শারীরিক ভাবে দুর্বল তাদের সেখানে না যাওয়াই ভালো। পাহাড়ি ছোট ছোট নদী (ছড়া), টিলা (স্থানীয় ভাষায় পাহাড়কে টিলা বলে) দিয়ে পায়ে হেঁটে যেতে হবে। প্রায় ৪ ঘন্টার রাস্তা পাড়ি দিতে হবে তাই সাথে নিতে হবে শুকনো খবার ও পানি। দুই-তিন জন এর দল না হয়ে ৮-১০ জনের দল হলে সবচেয়ে ভালো হয় ।


তথ্যসূত্র: উইকিপিডিয়া

Monday, June 25, 2018

বিল গেটস, পৃথিবীর সবচেয়ে ধনী ব্যক্তি / Bill Gates



বিল গেটস
বিল গেটস



জন্ম ও পরিবার: 
এক নামে যার পরিচয় বিল গেইট। বিল গেটস ওয়াসিংটনে ২৮ অক্টোবর ১৯৫৫ খ্রিস্টাব্দে একটি উচ্চবিত্ত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। । তার পুরো নাম উইলিয়াম হেনরী গেটস। তার পিতার নাম উইলিয়াম হেনরী গেটস সিনিয়র। পেশায় ছিলেন একজন প্রসিদ্ধ আইনজীবি (অবসরপ্রাপ্ত)। মাতার নাম মেরী ম্যাক্সয়েল গেটস। গেটসের এক বড় বোন ক্রিস্টিয়েন এবং ছোট বোন লিব্বি।

শৈশব ও পড়াশুনা: 
বাবা-মার স্বপ্ন ছিল গেটস  বাবার মত আইনজীবি হবেন। ১৩ বছর বয়সে তিনি লেকসাইড স্কুলে ভর্তি হন। এখান থেকে পাশ করেন ১৯৭৩ সালে।  তিনি স্যাট পরীক্ষায় ১৬০০ এর মধ্যে ১৫৯০ পান এবং ১৯৭৩ সালে পাশ করে হার্ভার্ড কলেজে ভর্তি হন।

মাইক্রোসফটের প্রতিষ্ঠাতা: 
১৯৭৫ সালে বিল গেটস এবং পল এলেন একসাথে ‘‘মাইক্রোসফট’’ কোম্পানি প্রতিষ্ঠা করেন। মাইক্রোসফটের প্রতিষ্ঠাতা, চেয়্যারম্যান, সাবেক সফটওয়্যার নির্মাতা ও সিও। আর এই প্রতিষ্ঠানই পরবর্তীতে সবচেয়ে বড় পিসি কোম্পানির মর্যাদা পায়।

বিল এবং মেলিন্ডা গেটস ফেউন্ডেশন: 
নিজের নাম বিল এবং স্ত্রীর নাম মেলিন্ডা, মিলিয়ে তিনি ‘‘বিল এবং মেলিন্ডা গেটস ফেউন্ডেশন” ২০০০ সালে প্রতিষ্ঠা করেন। ১৯৮৫ সালের নভেম্বরে মাইক্রোসফট উইন্ডোজ ১.০ সংস্করণ প্রকাশ করেন। বর্তমানে এই উইন্ডোজ পৃথিবীর বিখ্যাত কম্পিউটার অপারেটিং সিস্টেম।

পৃথিবীর সবচেয়ে ধনী ব্যাক্তি: 
১৯৯৫ থেকে ২০০৭ এবং ২০০৯ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত তিনি পৃথিবীর সবচেয়ে ধনী ব্যক্তি ছিলেন। ২০০৯ থেকে ২০১৪ তার মোট সম্পত্তি ৪০ বিলিয়ন ডলার থেকে ৮২ বিলিয়ন এ পৌছায়। ২০১৩ থেকে ২০১৪ এর মধ্যে তার মোট সম্পত্তিতে ১৫ বিলিয়ন যোগ হয়। ২০১৭ সালের ফেব্রুয়ারি মাসের হিসেব অনুযায়ী তার মোট সম্পত্তির পরিমান ৮৫.৬ বিলিয়ন। একাধারে ১৩ বছর যাবৎ তিনি পৃথিবীর সর্বোচ্চ ধনী ব্যাক্তি ছিলেন।

বিল গেটস এর বাংলাদেশ সফর:
 ২০০৫ সালে ৫ ডিসেম্বর সোমবার বিল গেটস বাংলাদেশ সফর করেন। তৎকালীন সরকারের প্রেধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার সাথে সাক্ষাত করে ১২ ঘন্টা সফর শেষে ভারতে রওনা করেন।

পরিবার

বিয়ে ও পরিবার:
বিল গেটস বিয়ে করেন ১৯৯৪ সালের ১লা জানুয়ারী। স্ত্রীর নাম মেলিন্ডা ফেঞ্চ। বিল গেটস এর তিন ছেলে মেয়ে। দুই মেয়ে জেনিফার ক্যাথরিন ও ফোয়েবি এড্যালে আর একমাত্র ছেলে রোরি জন।



তথ্যসূত্র: উইকিপিডিয়া

Sunday, June 24, 2018

ফেইসবুক প্রতিষ্ঠাতা মার্ক জাকারবার্গ


মার্ক জাকারবার্গ
মার্ক জাকারবার্গ


পরিবার: 
১৯৮৪ সালে ১৪ মে নিউইয়র্কের হোয়াইট প্লেইন এলাকায় দন্তচিকিৎসক এডওয়ার্ড জাকারবার্গ (Edward Zuckerberg) ও মনোচিকিৎসক ক্যারেনের (Karen) ঘরে জন্ম হয় মার্ক জাকারবার্গ এর। তার পুরো নাম মার্ক এলিয়ট জাকারবার্গ (Mark Elliot Zuckerberg) । জাকারবার্গের তিন বোন রয়েছে র‌্যান্ডি,ডোনা এবং এরিএল।

শিক্ষাজীবন: 
মার্ক জাকারবার্গ শাস্ত্রীয় গবেষনা এবং বিজ্ঞানে পারদর্শী ছিলেন। তিনি উচ্চ মাধ্যমিক পড়াশুনা শেষ করেই ফরাসি, হিব্রু, ল্যাটিন এবং গ্রিক পড়তে ও লিখতে পারদর্শী হন। মার্ক মনোবিজ্ঞান এবং কম্পিউটার সায়েন্স বিভাগে পড়াশুনা করেছেন। 

ফেইসবুকের প্রতিষ্ঠাতা: 
জাকারবার্গ একজন আমেরিকান কম্পিউটার প্রোগ্রামার ও সফটওয়্যার ডেভেলপার। বর্তমানে সবচেয়ে জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগ ওয়েবসাইট ফেইসবুকের প্রতিষ্ঠাতা মার্ক এলিয়ট জাকারবার্গ। যখন তিনি হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ছিলেন তখন তার কয়েকজন সহপাঠী নিয়ে ২০০৪ সালের ৪ ফেব্রুয়ারিতে মার্ক  জাকারবার্গ ফেইসবুক প্রতিষ্ঠা করেন তিনি বর্তমানে ফেইসবুকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ও প্রেসিডেন্ট। 

পৃথিবীর সর্বকনিষ্ঠ সফল ব্যাক্তিত্ব: 
মার্ক জাকারবার্গকে বলা হয় পৃথিবীর সর্বকনিষ্ঠ সফল ব্যাক্তিত্ব। ২০০৭ সালের মধ্যে মার্ক জাকারবার্গ এর আর্থিক সম্পত্তির পরিমাণ হয়ে যায় ‘‘বিলিয়নে’’। ২০১০ সালে টাইম ম্যাগাজিনের দৃষ্টিতে তিনি সারা বিশ্বের প্রভাবশালী এবং বিত্তবানদের ১০০ জনের মধ্যে একজন হয়ে বছরের সেরা ব্যক্তিত্বরূপে নির্বাচিত হয়েছেন মাত্র ২৬ বছর বয়সে।

বিশ্বের ছয় ধনীর একজন মার্ক: 
মাত্র ৩৩ বছর বয়সেই মার্ক জাকারবার্গ  ৬৬.৭ বিলিয়ন ডলার সম্পত্তি নিয়ে ফোর্স রিয়েল টাইম র‌্যাঙ্কিংয়ের কম সময়ে সর্বাধিক আয়ের শীর্ষস্থানে রয়েছেন। বিশ্বের ছয় ধনী ব্যক্তির একজন মার্ক জাকারবার্গ (জুলাই২০১৭ সালের তথ্যমতে)।

সংসার জীবন: 
১৯ মে ২০১৪ সালে বিয়ে করেন মার্ক জাকারবার্গ। তার স্ত্রীর নাম প্রিসিলা চ্যান। শিক্ষা জীবনের বান্ধবীকে বিয়ে করেছেন জাকারবার্গ। বর্তমানে স্ত্রী ও দুই কন্যা সন্তান ম্যাক্সিমা ও আগস্টকে নিয়ে মার্ক এর পরিবার। 

জাকারবার্গ পরিবার
 


তথ্যসূত্র: উইকিপিডিয়া

গোলাপ (বিভিন্ন রঙের গোলাপ এবং এর অর্থ)

বিভিন্ন রঙের গোলাপ এবং এর অর্থ


ফুল মানেই সৌন্দর্য, ফুলমানেই শুভ কামনা। ফুল মানেই কোন ‌উৎসব। প্রাচীন কাল থেকেই ভালোবাসার প্রতীক, রূপচর্চার বিশেষ উপাদান হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে ফুল। আর ফুলের রানী বলা হয় গোলাপকে। বর্তমানে নানা রঙের গোলাপ পাওয়া যায়। সাদা, লাল, গোলাপি, হলুদ, ঘাঢ় লাল, নীল, কমলা ইদ্যাদি। এই বিভিন্ন রঙের গোলাপ ভিন্ন ভিন্ন অর্থ প্রকাশ করে।

লাল গোলাপ
লাল গোলাপ


লাল গোলাপ: লাল গোলাপ সবার পছন্দের। এই লাল গোলাপকে বলা হয় সৌন্দর্যের প্রতীক। লাল গোলাপকে শুধু সৌন্দর্যের প্রতীক বললে ভুল হবে। লাল গোলাপের মাধ্যমে প্রকাশ পায় প্রেম, সৌন্দর্য, সাহস এবং সম্মান। রোমান্টিক ভালবাসা, অভিনন্দন, "ভাল কাজের সাফল্য", আন্তরিক ভালবাসা, প্রকাশ করে এই লাল গোলাপ। আর লাল গোলাপ প্রিয়জনকে জানান দেয়  "আমি তোমাকে ভালোবাসি"।

সাদা গোলাপ
সাদা গোলাপ

সাদা গোলাপ: সাদা গোলাপ বিশুদ্ধতার প্রতীক। সাধারণত কোন শুভ কাজ শুরু করার জন্য সাদা গোলাপ ব্যবহার করা হয়। সাদা গোলাপ প্রকাশ করে পবিত্রতা, নীরবতা, বিনয়, শ্রদ্ধা, নম্রতা, তারুণ্য, স্বর্গীয়। সাদা গোলাপ কাউকে দেওয়া মানে প্রকাশ করা "আমি তোমার যোগ্য"।
গোলাপি গোলাপ
গোলাপি গোলাপ

গোলাপি গোলাপ: প্রশংসার প্রতীক, সাধারণত হালকা গোলাপ কাউকে ধন্যবাদ জানানোর জন্য ব্যবহার করা হয়। এই গোলাপে প্রকৃত সুখ, শ্রদ্ধা, সৌজন্যতা প্রকাশ পায়।
হলুদ গোলাপ
হলুদ গোলাপ

হলুদ গোলাপ: বন্ধুত্ব প্রকাশের জন্য হলুদ গোলাপ। এই গোলাপের মধ্য দিয়ে জানানো হয়, যত্নশীলতা, আনন্দ, নতুন প্রতিশ্রুতি, স্বাগতম।
পিচরঙা গোলাপ
পিচরঙা গোলাপ

পিচরঙা গোলাপ: এই গোলাপ প্রকাশ করে মূল্যবানতা, চুক্তির সমাপ্তি, নতুন কিছু শুরু করা, আন্তরিকতা ও কৃতজ্ঞতা।

নীল গোলাপ
নীল গোলাপ

নীল গোলাপ: নীল রঙের গোলাপ এর ব্যবহার খুব কম দেখা যায়। এই নীল রঙের গোলাপ প্রকাশ করে আশ্চর্য/অসম্ভব কোন বিষয়। তাই বিশেষ কোন সাফল্যে বন্ধু/পরিবারকে উপহার হিসেবে ব্যবহার করা যায়।
কমলা গোলাপ
কমলা গোলাপ

কমলা গোলাপ: কমলা গোলাপ এর সৌন্দর্য এবং বহিঃপ্রকাশ একটু আলাদা। আর এই কমলা গোলাপ এর মাধ্যমে প্রকাশ করা হয় ধৈর্য, আকাঙ্ক্ষা, পরিশ্রমকে।

তথ্যসূত্র:সংগৃহীত

Saturday, June 23, 2018

স্বাস্থ্যের জন্য পেয়ারার উপকারিতা





দেশী ফল পেয়ারা। আকারে ছোট এই ফলের রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি এবং ভিটামিন এ। একটি মাঝারি আকৃতির কমলার চেয়ে একটি পেয়ারাতে ৪ গুণ বেশি ভিটামিন সি রয়েছে। আর একটি লেবুর তুলনায় দশগুণ বেশী। রোগ প্রতিরোধেও পেয়ারা উপকারি। সঠিক পরিমাণে পেয়ারা খেলে স্বাস্থ্যের জন্য উপকারি। পেয়ারাতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি আছে যা আমাদের দেহের রোগ প্রতিরোধে কাজ করে। পেয়ারাতে অ্যান্টি অক্সিডেন্ট উপাদান রয়েছে যা শরীরের ক্যান্সারের কোষ বৃদ্ধি রোধ করে। পেয়ারা মানব দেহের হার্ট সুস্থ রাখতে সহায়তা করে। পেয়ারার রসে থাকা উপাদান ডায়াবেটিস মেলাইটাসের চিকিৎসায় খুবই কার্যকর। তাই ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য পেয়ারা বিশেষভাবে উপকারি। পেয়ারাতে উচ্চ পরিমানে আয়রন এবং ভিটামিন সি থাকায় এটি শ্লেষ্মা কমিয়ে দেয়। কাঁচা পেয়ারা ঠান্ডা জনিত সমস্যা দূর করতে কার্যকর। পেয়ারাতে উপস্থিত পটাসিয়াম রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে। প্রচুর পরিমানে ভিটামিন এ থাকায় পেয়ারা চোখের দৃষ্টি বৃদ্ধিতে সহায়তা করে।  



জার্মানি এবং সুইডেন এর আগুনঝড়া ম্যাচ


বিশ্বকাপ রাশিয়ার ২০১৮ এর আজকে জার্মানি এবং সুইডেনের ম্যাচটি জার্মানির জন্য বাঁচা মরার ম্যাচ। সর্বশেষ দুই দলের খেলায় ১৬টি গোল হয়েছে। এখন দেখার বিষয় কে জিতবে আজকের খেলায়। প্রথম ম্যাচ হারার পর জার্মানির অধিনায়ক নয়্যারই বলছিলেন, “এখন থেকে শুরু করে সব ম্যাচই আমাদের ফাইনাল।” এই বিশ্বকাপে অনেক দলই ফেবারিট হয়ে আসলেও সেরকম ভাবে আলো ছড়াতে পারেনি। একমাত্র ফ্রান্স তাদের ধারিবাহিকতা বজায় রাখতে পেরেছে। প্রথম ম্যাচে অস্ট্রেলিয়াকে ২-১ গোলে হারিয়ে নিজেদের শক্তিমত্তাকে বিশ্বমানুষের কাছে জানান দিয়েছে আমরাও বিশ্বকাপের  দাবিদার। ইতোমধ্যে পরের ম্যাচে পেরুকে ১-০ গোলে হারিয়ে দিয়ে দিতীয় রাউন্ডে পা রেখেছে তারা। 

Photo Credit Google


অন্যদিকে টপ ফেবারিট ব্রাজিল, আর্জেন্টিনা তেমন ভালো ফল করতে না পারায় সর্মথকরা হতাশ হয়েছে। সব থেকে বেশি হতাশ করেছে আর্জেন্টিনা দল। মেসির পায়ের ম্যাজিক দেখবে বলে সারা বিশ্বের কোটি কোটি ভক্ত অপেক্ষায় ছিলো কিন্তু মেসি সবাইকে হতাশ করলো। অন্যদিকে ক্রিস্টিয়ানো রোনাল্ডো প্রথম ম্যাচেই শক্তিশালি স্পেনের সাথে হ্যাট্রিক করে দলকে জিতাতে না পারলেও ড্র করে মাঠ ছেড়েছে। পরের ম্যাচেও মরক্বোর সাথে দূর্দান্ত একটা গোল করে দলকে জিতিয়ে ২০১৮ সালের বিশ্বকাপে ৪টি গোল করে সবার থেকে এগিয়ে আছে।

রাশিয়া আয়োজক হিসেবে নিজেদের মাঠ ও নিজেদের কন্ডিশনে খেলে সৌদি আরব এবং মিশরকে হারিয়ে সবার আগে ২য় রাউন্ডের টিকিট পেয়ে গেছে।

আজ জার্মানি এবং সুইডেন এর আগুনঝড়া ম্যাচ। ম্যাচটি দেখার জন্য বিশ্ববাসী অপেক্ষার প্রহর গুনছে। জামানির জন্য আজকের ম্যাচটি যেন ফাইনাল ম্যাচ। কারণ আজকে হারলেই তাদের বিদায় ঘন্টা বেজে যাবে তাদের। কিন্তু ফুটবল ইতিহাসে ১৯৩৮ সালের পর আর কোন বিশ্বকাপে তারা প্রথম রাউন্ডে বাদ পড়েনি। জার্মান সমর্থকেরাও তা কখনো আশা করবে না। কিন্তু হেরে গেলে ইতিহাস পড়ে কিছু হবে না। যারা ভালো খেলবে তারাই জিতবে এটাই নিয়ম।

Photo Credit Google


সইডেন প্রথম ম্যাচেই এশিয়ার শক্ত প্রতিপক্ষ দক্ষিন কোরিয়াকে ১-০ গোলে হারিয়ে ৩ পয়েন্ট পেয়ে আছে। কিন্তু বিশ্বকাপের ইতিহাসে ১৯৫৮ সালের পর কখনোই টানা দুই ম্যাচ জেতা হয়নি সুইডেনের। অন্যদিকে এই ১৯৫৮ সালের বিশ্বকাপেই জার্মানি সেমিফাইনাল এবং তৃতীয় স্থান নির্ধারণী ম্যাচ সহ টানা দুটো ম্যাচ হেরেছিলো। এখন দেখার বিষয় ২০১৮ সালের রাশিয়া বিশ্বকাপ জার্মানি এবং সুইডেনের জন্য কি লিখে রেখেছে।

Photo Credit Google


জামানি এবং সুইডেনের পরিসংখ্যান অনুযায়ী জার্মানি অনেক এগিয়ে থাকবে। কারণ ১৯৭৮ সালের পর ১১ বার মুখোমুখিতে সুইডেন একবারও জার্মানিকে হারাতে পারেনি। এই দুই দলের খেলায় ৬টিতে জিতেছে জার্মানি । তবে ১৯৫৮ সালের বিশ্বকাপ মঞ্চে স্বাগতিক সুইডিশরা সেমিফাইনালে জার্মানিকে ৩-১ গোলে হারিয়ে ফাইনালে উঠেছিলো। কিন্তু ফাইনালে ব্রাজিলের কাছে হেরে রানার্স আপ হয়েছিলো সুইডিশরা। 

আলোচনা সমালোচনা যাই হোক খেলা হবে মাঠে আমাদের চোখ থাকবে টিভির পর্দায়। ইতিহাস কি বলে সেটা বড় কথা নয় যারা ভালো খেলবে মাঠ কাঁপবে তাদের হয়ে। দুই দলের জন্যই শুভ কামনা থাকলো। 

Friday, June 22, 2018

ভাসমান পেয়ারা বাজার, ঝালকাঠি, বরিশাল

বছরের জুন থেকে সেপ্টেম্বর মাস পর্যন্ত বাংলাদেশে বিভিন্ন এলাকায় বসে বিভিন্ন রকমের  ফলের বাজার। মধুপুর বিখ্যাত আনারস এর জন্য, রাজশাহী আমের জন্য, তেমনি বরিশাল বিখ্যাত পেয়ারা বাজার এর জন্য। ধারণা করা হয় বরিশাল, পিরোজপুর ও ঝালকাঠি এই তিন জেলায় এশিয়ার ‍বৃহত্তম পেয়ারার চাষ হয়। মনোমুগ্ধকর বিস্তীর্ন এই পেয়ারার বাগান দেখতে যে কেউ আসতে পারেন বরিশালে। আর এই বাগান গুলোকে ঘিরেই গড়ে উঠেছে এখানকার বাজার। এর মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় হলো ভিমরুলি, আটঘর ও কুড়িয়ানা বাজার। অনেকে থাইল্যান্ডের ফ্লোটিং মার্কেটের সাথে তুলনা করে থাকে এই ভাসমান বাজার গুলোকে।


ভাসমান পেয়ারা বাজার Photo Credit Rafi 

 ভিমরুলি বাজারটা সব থেকে বেশি জমজমাট থাকে বেলা ১১টা থেকে বিকাল ৩টা পযর্ন্ত। এসময় ভীমরুলির আশে পাশে গ্রামের চাষিরা বাগান থেকে পেয়ারা সংগ্রহ করে ছোট ছোট ডিঙ্গি নৌকা নিয়ে বাজারে চলে আসে। আপনি যদি ঝালকাঠি জেলা সদর থেকে মোটরবাইকে আসতে চান তাহলে সময় লাগবে আধাঘন্টা আর ইঞ্জিন চালিত নৌকায় আসলে সময় লাগবে এক ঘন্টার মতো।


ভাসমান পেয়ারা বাজার Photo Credit Rafi 

প্রতিদিন কয়েক হাজার মণ পেয়েরা কেনাবেচা হয় এই অঞ্চলের বাজার গুলোতে। বিভিন্ন দূর দূরান্ত হতে পাইকাররা আসে এখান থেকে পেয়েরা কিনতে। চাষিদের কাছ থেকে সরাসরি পেয়ার কিনে নিয়ে তারা নদীপথে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে বড় ইঞ্জিন চালিত নৌকা যোগে চলে যায়। এখানকার বাজার গুলোর মধ্যে ভিমরুলি বাজারের সৌন্দর্য ভিন্ন। তিন দিক থেকে তিনটি খাল এসে মিশেছে এখানে। তিন খালের মোহনা হওয়ায় এটি অনেক প্রশস্ত তাই চাষিরা এখানে আসতে পছন্দ করেন।


ভাসমান পেয়ারা বাজার Photo Credit Rafi 

পেয়েরার মৌসুম শেষ হলেই আবার শুরু হয় আমড়ার মৌসুম। এ অঞ্চলে আমড়ার ফলনও খুব ভালো। তারপরেই আসে সুপারি মৌসুম। পেয়েরা বেচাকেনার মতো খুব ব্যস্ত না থাকলেও বছরের প্রায় সময়ই ব্যস্ত থাকে এখানকার ভাসমান হাট বাজার গুলো। কারণ ফল ছাড়াও বিভিন্ন রকমের সবজির হাটও খুব জমে উঠে সর্বত্র। এই ভাসমান বাজার দেখতে বিভিন্ন জায়গা  থেকে অনেক পর্যটক ছুটে আসেন।


ভাসমান পেয়ারা বাজার Photo Credit Rafi 


কিভাবে যাবেন
ঢাকা থেকে সড়ক এবং নৌ এই দুই পথেই আসতে পারেন। গাবতলী হতে একটি এসি বাস আছে ভাড়া নিবে আটশত টাকা। নন এসি গুলোর মধ্যে দ্রুতি, ঈগল, সুরভী অন্যতম। ভাড়া নিবে ৪০০ থেকে ৪৫০ টাকা। এছাড়া সায়দাবাদ থেকেও ঝালকাঠি যাওয়ার একটি বাস আছে। আপনি চাইলে সেখান থেকেও যেতে পারেন। তবে বরিশাল ঝালকাঠি যাওয়ার জন্য নদীপথে গেলেই সবচেয়ে ভালো মনে করি। নদী দেখতে দেখতে কখন সেখানে পৌঁছে যাবেন বুঝতেই পারবেন না। ঢাকার সদরঘাট থেকে প্রতিদিন পিরোজপুর, বরিশালের পথে লঞ্চ ছাড়ে বিকাল ৫টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত।  এমভি টিপু এবং এমভি সুন্দরবন-২ লঞ্চ। ভাড়া ডাবল কেবিন আঠারশ এবং সিঙ্গেল কেবিন এক হাজার টাকা মাত্র। ডেকে জন প্রতি ২০০ থেকে ২৫০ টাকা।

ভ্রমণ পরিকল্পনা
লঞ্চ থেকে নেমে সকালের নাস্তা সেড়ে নিতে পারেন সেখানকার ছোট হোটেল গুলোতে। তারপর ১০ জনের ধারণক্ষমতা উপযোগী একটি নৌকা ভাড়া করে সারাদিন ঘুরে বেড়াতে পারেন। ভাড়া দরদাম করে ১,৫০০/- থেকে ২,০০০/- টাকা। আর মটর সাইকেলে করেও ঘুরতে পারেন। তবে নৌকাযোগে ভ্রমণ অন্যরকম একটি আনন্দ দিবে। 

কোথায় থাকবেন
সারাদিন ঘুরাঘুরি শেষ করে আপনি চাইলে সন্ধ্যায় লঞ্চ ধরে ফিরে আসতে পারেন। আর যদি থাকতে চান তাহলে সেখানকার সাধারণ মানের হোটেল গুলোতে থাকতে পারেন। হোটেল গুলো হলো ধানসিড়ি রেস্ট হাউস, আরাফাত বোডিং, হালিমা বোর্ডিং অন্যতম। নামমাত্র মূল্যে ১০০/- টাকা থেকে ২৫০/- টাকার মধ্যে এখানে থাকার ব্যবস্থা আছে। নদীর পাড় ঘেষে হোটেল গুলো থাকার অভিজ্ঞতাও অন্যরকম। তবে ভালো মানের হোটেলে থাকতে চাইলে আপনাকে যেতে হবে ঝালকাঠি হতে ২০ কিলোমিটার দূরত্বে বরিশাল সদরে।

দর্শণীয় স্থান দেখা
কোথাও ঘুরতে গেলে দর্শনীয় স্থান গুলো ঘুরে আসতে পারলে ভ্রমণ আরও সার্থক হবে। ভাসমান পেয়ারা বাজার দেখা শেষ করে আশে পাশের ঐতিহ্যবাহী স্থান যেমন গুঠিয়া মসজিদ, দূর্গাসাগর দিঘি দেখে রাতের লঞ্চে আবার ফিরে আসা।

টিপস্ বা পরামর্শ
যেহেতু জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর মাস পর্যন্ত পেয়ারার মৌসুম। তাই তখন সেখানে ঘুরতে যাওয়ায় উত্তম। এই তিন মাসে বৃষ্টি অনেক হয় তাই সাথে করে রেইন কোট ও ছাতা নিতে ভুলবেন না। পরিবেশের কথা চিন্তা করে প্লাস্টিক জাতীয় কোন কিছু পানিতে না ফেলাই ভালো। বাগানে ঘুরার সময় অনুমতি ছাড়া পেয়েরা না ছেড়া।